হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নারী ও শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালীতে ঘটেছে এঘটনা। গুলিবিদ্ধরা হলেন খারাংখালী নাছরপাড়া এলাকার গোলাম হোছনের ছেলে নুর কবির (৪৩), খালেক হোছন (৩৬), আহমদ হোছন, সৈয়দ হোছনের ছেলে মাসুম (১৬), মিনারা বেগম (৩৭) ও তার মেয়ে রিজবা (১৪)। স্থানীয় বাসিন্দাগণ অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জোর দাবী জানান, অন্যথায় যে কোন ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারী বিকেলে প্রতিপক্ষ দলের আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ রুবেল তার নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। পূর্বশত্রুতার জের ধরে নুর কবির গংদের দেখলে সে ভয়ে নানার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। নানার বাড়ির থেকে অপহরণ করেছে বলে হোয়াইক্যং ফাঁড়ীর পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সত্যতা পাইনি পুলিশ। পরে উভয় পক্ষকে সাবধান করে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই পরিকল্পিতভাবে রুবেল ভাড়াটে সন্ত্রাসী মৌলভী বাজার এলাকার বাদশা (চামড়া বাদশা) ছেলে সাদ্দাম হোছন, খুইল্যা মিয়ার ছেলে সিরাজ আশ্রাফের ছেলে সৈয়দ নুরসহ একাধিক লোক সন্ত্রাসী স্টাইলে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা গেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হন ওই চারজন। তারা বর্তমানে সদর হাসাপাতালে ভর্তি রয়েছে।

স্থানীয় মেম্বার জাহেদ হোসাইন জানান, রুবেল ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা নুর কবির ও খালেকদের গুলি করেন। এ ব্যাপারে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা দেশী ও বিদেশী অস্ত্রগুলো উদ্ধারের দাবী জানান।

হোয়াইক্যং ফাঁড়ী পুলিশের ইনচার্জ এসআই নির্মলেন্দু চাকমা জানান, রুবেলকে অপহরণ করেছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় তা ভিন্ন চিত্র। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রুবেল ভয়ে তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গুলিবিদ্ধরা উভয় পক্ষকে উত্তপ্ত অবস্থায় শান্ত করে ফাড়িতে পৌঁছলে ফের এক পক্ষ গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেন।